ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আইসিইউতে মৃত শিশু রেখে বিল আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
আইসিইউতে মৃত শিশু রেখে বিল আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ

সিলেট: সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকার মা ও শিশু হাসপাতালের বিরুদ্ধে মৃত শিশুকে আইসিইউতে রেখে বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ, শিশুর মৃত্যুর পরও তিন দিন আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সোবহানীঘাট এলাকার মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা।

রোগীর স্বজনরা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা জাবেদ আহমদ তার চার মাস বয়সী শিশু আরিয়ানকে অসুস্থ অবস্থায় মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে আইসিইউতে নিয়ে যান।

শিশু আরিয়ানের বাবা জাবেদ আহমদ বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে ছেলের হাত-পা কালচে বর্ণ হয়ে যেতে দেখেন, শিশুটির কোনো নড়াচড়া ছিল না। তখন থেকেই আমাদের সন্দেহ হয়, ‘আমার ছেলে আর বেঁচে নেই’। তারপরও চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, শিশু ভালো আছে কোনো সমস্যা নেই।

জাবেদ বলেন, বুধবার সকালে চিকিৎসকদের জানাই শিশুকে নিয়ে ওসমানী হাসাপতাল চলে যাবো, এখানে (মা ও শিশু হাসপাতাল) টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবো না। তবুও তারা বলেন শিশু ভালো আছে, আপনারা কেন যাবেন? এভাবে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা কথা-কাটাকাটি করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় তারা জানান শিশুটি মারা গেছে।

তিনি বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ ছিল, কিন্তু মারা যাবে এমন অবস্থা ছিল না। , ও কীভাবে মারা গেলো? তবে আমার ধারণা ও রাতে মারা গেলেও তারা অনর্থক বিল বাড়াতে আইসিইউতে রাখেছেন। এরপর তারা ছাড়পত্র দেওয়ার সময় টাকা পরিশোধ করে আমার মৃত শিশুকে নিয়ে যেতে বলেন। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা টাকা দিয়ে সমাধান করতে চেয়েছিল। আমরা তা মেনে নেইনি। যেহেতু আমার সন্তান মারা গেছে, টাকা দিয়ে কী হবে। আগে দাফন-কাফন করি। পরবর্তীতে আমরা যা করার করবো।

এ বিষয়ে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার মুরশেদ আহমদকে বলেন, ভর্তির শুরু থেকে শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে চিকিৎসকরা তাদের জানান, রোগীর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তখন স্বজনরা বলেন, আল্লাহ আল্লাহ করে বাড়িতে চলে যাবেন। এরপর বিকেল ৫ টার দিকে চিকিৎসক জানান রোগী মারা গেছে। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, পরে তা সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।