ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো রেলের জমি উদ্ধারের এস্কেভেটর

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো রেলের জমি উদ্ধারের এস্কেভেটর দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে জমি পুনরুদ্ধারের এক্সিভেটর

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি অবৈধ দখল থেকে পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনার আগেই একটি এস্কেভেটরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ভানুগাছ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এস্কেভেটরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে, কারা এ আগুন লাগিয়েছে তা জানাতে পারেনি তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভানুগাছ সড়কের উত্তর পাশের রেলের মূল্যবান ২৮৭ শতাংশ জমির ওপর বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল রেল বিভাগের। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেখানে একটি এস্কেভেটর আনা হয়। এস্কেভেটরটি রেলগেট পয়েন্টে আসা মাত্র কয়েকজন দুর্বৃত্ত এক্সিভেটরের কেবিনে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনে এস্কেভেটরের ড্রাইভার কেবিন ও নিচের অংশ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের সহকারী এস্টেট অফিসার বলেন, বৃহস্পতিবার ওই এলাকার রেলের প্রায় ২৮৭ শতাংশ জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। অভিযানের কাজের জন্য অন্য বাহনে করে সেখানে একটিএস্কেভেটর নেওয়া হয়েছে।

আগুন লাগানোর ঘটনায় তিনি বলেন, রেলের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এর আগে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর সর্বশেষ গত ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর শতকোটি টাকার এই ভূমি উদ্ধারে অভিযান চালায় রেল বিভাগ।   আইনশৃংখলা বাহিনীর শতাধিক সদস্যের সহায়তায় ২টি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। সে সময় শহরের প্রভাবশালীদের দখলে থাকা ভানুগাছ সড়কের মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারি প্রকল্প, অভিজাত রেস্টুরেন্ট, গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম, ফার্নিচারের শো-রুম, সেলুন, চা পাতার দোকান, বাসা বাড়ি, ভ্যারাইটি ষ্টোর, ফার্মেসি, হার্ডওয়্যারের দোকান, ওয়ার্কশপ, ট্রান্সপোর্ট অফিসসহ শতাধিক পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর রেল বিভাগের দেখভালের অভাবে সেই জমি আবারও দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিবিবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad