ঢাকা: দেশের সব রাস্তা ও ভবন নির্মাণে গুণগত মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইট তৈরি এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে যে সমস্ত ইটভাটার মালিকরা যুক্ত থাকবেন তাদের বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাস্তা ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগত মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইটের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে, এসব যদি গুণগত মানসম্পন্ন অর্থাৎ টেকসই করা সম্ভব না হয় এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার পরও গুণগতমানের সামান্য ত্রুটির কারণে ভবন বা যেকোনো কনস্ট্রাকশন টেকসই হয় না। আমরা যদি মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইটসহ অন্যান্য উপাদান নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কাজগুলো টেকসই হবে। সে উদ্দেশ্যেই আজকের এই সভার আয়োজন।
তিনি বলেন, গুণগতমান নিশ্চিত করে ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি ও নিয়মিত পরিদর্শন করার জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইটের গুণগতমান ও সাইজ ঠিক না করে উৎপাদন করলে ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, বিটুমিন, ইট, বালুসহ নির্মাণে প্রয়োজনীয় উপাদান ঠিক আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় এলজিইডির টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। এছাড়া অন স্পটে নির্মাণ সামগ্রী পরিক্ষা-নিরীক্ষা করতে মোবাইল ল্যাবরেটরীও রয়েছে। এগুলোকে আরো অধিক কার্যকর করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ব্লক তৈরি করছে তাদের উৎসাহিত করার জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর আগে একটি সভায় আমি বলেছিলাম, তাদের দামে কিছু ছাড়া দেওয়ার জন্য। রেভিনিউতে কিছু সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ওয়ার্কআউট করার জন্য। সে বিষয়টি কোভিডের কারণে আর এগোয়নি। পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেটা করছিল। এখন সেটা আমরা করার চিন্তা করছি।
মডেল রাস্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষেয় ইত্যোমধ্যে আমাদের একটা গেজেট হয়েছে। নতুন কোয়ালিটির রাস্তা হবে, অবকাঠামোগত নকশার পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় এখন যে সব উপাদান ব্যবহার করা হবে, সেগুলো যেন ৫ বছর টেকসই হয়। এভাবেই এখন বাজেট করা হচ্ছে এবং বরাদ্দও সেভাবে দেওয়া হবে।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এবং কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ