ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মুফতি যুবায়েরের ছেলের আর্তি: ‘আব্বুকে ফেরত চাই'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
মুফতি যুবায়েরের ছেলের আর্তি: ‘আব্বুকে ফেরত চাই'

ঢাকা: ছোট্ট ওয়ালিউল্লাহ এখনও বাস্তব জীবনের কষাঘাত বুঝতে শেখেনি৷ শুধু জানে তার বাবা বাসায় নেই৷ অস্ফূট কণ্ঠে তার একটাই কথা- 'আমি আমার আব্বুকে ফেরত চাই'৷

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামি বক্তা মুফতি যুবায়ের আহমাদের সন্ধান চেয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিশু ওয়ালিউল্লাহ এ দাবি জানায়৷

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি যুবায়ের আহমাদের স্ত্রী বিলকিস আক্তার লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার স্বামী বাংলাদেশের একজন পরিচিতমুখ আলেম ও দাঈ। যিনি কোনো রাজনৈতিক দল, মত বিশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নন।

তার কোনো বক্তব্যে কিংবা লেখায় কখনও কোনো প্রকার উস্কানিমূলক, দেশ ও সরকারবিরোধী এমন কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি যেসব কাজ করেন তার প্রতিটা কাজই দৃশ্যমান। তিনি লুকিয়ে কোনো কাজই করতেন না। বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত অনেকেই ওনার কাজের প্রশংসা করেছেন। উনি যেহেতু আইন বিরোধী কোনো কাজে যুক্ত নন, তাই সারাদেশের মানুষ, সব উলামায়ে কেরামদের মধ্যে ওনার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে দ্বীন শিক্ষার অভাব রয়েছে সেখানে তিনি মক্তব-মাদরাসা পরিচালনা করেন। ছোট ছোট শিশুদেরকে কালামে পাক শিক্ষা দেন। করোনার মধ্যে যেহেতু মাদরাসার সব কার্যক্রম বন্ধ ছিলো সে কারণে তিনি সেসব মাদ্রাসা পরিদর্শন ও কীভাবে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে কিছুদিন আগে সফরে বের হন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান। বিমান থেকে নেমে তিনি আমাদের কল করে জানান, আসতে কিছুটা দেরি হতে পারে, খুব শিগগিরই চলে আসবেন৷ এরপর থেকেই ওনার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। কিন্তু খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোথাও আমাদের একটি সাধারণ ডায়েরিও নিচ্ছে না।

বিলকিস আক্তার আরও বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ভুল বুঝিয়ে সরলমনা যেসব মুসলিম ভাই-বোনদেরকে ধর্মত্যাগ করানো হয় তাদেরকে আবারও ইসলাম ধর্মের দাওয়াত দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতেন মুফতি যুবায়ের আহমাদ। তিনি কখনও কোনো অমুসলিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ম চাপিয়ে দেননি বা জোর করে দাওয়াতও দেননি। কারণ তিনি দৃঢ়ভাবে এ কথায় বিশ্বাস করতেন যে, ধর্ম কোনো চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। কিন্তু ধর্মের দাওয়াত দেয়া জরুরি। আমাদের সংবিধানও কাউকে নিজ ধর্মের দাওয়াত দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, তিনি যেন আমার নিরপরাধ স্বামীকে খুঁজে বের করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশ দেন। আমরা পারিবারিকভাবে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। তিনিও যেন একজন পিতাহারা নারী হিসেবে আমার সন্তানদের দুঃখ কষ্টগুলো অনুধাবন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি যুবায়ের আহমাদের ছোট ভাই মো. হাবিবুল্লাহ, মো. হিজবুল্লাহসহ নিকটজনেরা উপস্থিত ছিলেন৷

বাংলাদেশ সময় ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
ডিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।