মানিকগঞ্জ: বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার উদ্যোগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও ভালো চালের সঙ্গে পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল মিশিয়ে বিতরণ করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে এই শিরোনামে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক তদন্ত করে অভিযোগ ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদের সত্যতা পায় এবং উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সমন্বয় সভায় সকলের মতামত নিয়ে ওই ডিলারশিপ বাতিল করার জন্য সুপারিশ করেন।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ওই ডিলারশিপ বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেসার্স অনিল টেড্রার্সের পরিচালক অনিল চন্দ্র সাহার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
সাটুরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, কার্ডধারীদের করা অভিযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের কারণে ইউএনও আমাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলেন এবং আমি তদন্ত প্রতিবেদন ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করি। সকলেই অনিল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ইউএনও’র কাছে কাগজটি জমা দেই।
সাটুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ডিলার (অনিল চন্দ্র সাহা) ভালো চালের সঙ্গে পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল দেওয়ার অপরাধে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে হাফিজ জুট মিল লিমিটেড থেকে এই পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত চালের বস্তা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই সনেই এই চাল সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে আসে। ২০২১ সনের ১৪ সেপ্টেম্বরে ওই চাল নতুন চালের সঙ্গে মিশিয়ে (ওএমএস) কার্ডধারীদের দিচ্ছে মেসার্স অনিল টের্ড্রাস। সরকার প্রধান অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা বিবেচনা করে ১০ টাকা কেজি দরে এই চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও কিছু অসাধু ডিলারের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এই মহতি উদ্যোগ।
>>সাটুরিয়ায় ওএমএসের পচা চাল বিতরণ
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনটি