যশোর: যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার যুবকের ‘পুলিশ হেফাজতে’ মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রবিউল ইসলাম (৩৬) যশোর শহরের পালবাড়ি পাওয়ার হাউজ এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণপিটুনির শিকার হওয়ার পর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। রবিউলের বিরুদ্ধে ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার যশোর থেকে ইজিবাইক কিনে পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেলে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুড়ামনকাটি বাজার এলাকায় ওই পিকআপভ্যান আটকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন রবিউল। এ সময় বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে গণপিটুনির শিকার রবিউলকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ রবিউলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রবিউল থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে আবারও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন জানান, গণপিটুনির শিকার রবিউলকে বিকেলে জরুরি বিভাগে আনা হয়। কিন্তু তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যার পর তাকে ফের হাসপাতালে আনা হলেও তার আগেই রবিউলের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইজিবাইকে চাঁদাবাজিকালে রবিউল গণপিটুনির শিকার হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় নেওয়া হয়। পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিউলের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
ইউজি/এএটি