রাজশাহী: অপরাধী যত বড়োই হোকই না কেন গ্রেফতারের পর তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগ দিতে হবে। কারণ এটি তার সাংবিধানিক অধিকার।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো ব্যক্তিকে কোনো পুলিশ কমকর্তা গ্রেফতার করবেন তখন সাথে সাথেই গ্রেফতারের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে গ্রেফতারের স্মারকলিপি প্রস্তুত করে আসামির স্বাক্ষর নেবেন এবং পরিবারের লোকজনকে জানাবেন, যেন তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
আদালতের বিচারকরা, জেলা পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ফৌজদারি মামলার বিচার ও তদন্তে জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে অতি উৎসাহী না হয়ে আইনানুগ পন্থায় নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে দিক নির্দেশনা দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম।
সভার সভাপতি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল বাহার বলেন, আসামি যদি কোনো কারণে জখমপ্রাপ্ত হয় তবে তার ব্যাখা গ্রেফতারের স্মারকলিপিতে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে। গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি গ্রেফতারের স্মারকলিপি প্রস্তুতে সরবরাহকৃত ফরম ব্যবহার করার প্রতি নির্দেশনা দেন। এছাড়া তিনি থানা পর্যায়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় রিমান্ডের আবেদনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুকুমার রায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মাহমুদ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন রাজিউল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
এসএস/কেএআর