ঢাকা: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেন। ঐতিহাসিক এ ভাষণটির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথম বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদানের ৪৭তম বার্ষিকী স্মরণে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কালের কণ্ঠের আয়োজনে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইডব্লিউএমজিএল পরিচালক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় ‘জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু ও বাংলা ভাষা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা আরও বলেন, ভাষণে বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিরাজমান জাতীয়তা, বৈষম্য, বর্ণবাদ, আগ্রাসন, উপনিবেশবাদ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। বাঙালির শক্তি, সাহস ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতার কথা তুলে ধরেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ সেই শক্তির পরিচয় দিতে পেরেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আজ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আজ কাণ্ডারী তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন মতিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আক্তার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এসই/এনএসআর