হবিগঞ্জ: পরপর ছয়টি মেয়েকে ধর্ষণের পর টাকা দিয়ে অপরাধ আড়াল করার অভিযোগ ছিল এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এবার এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ছালাম উল্লা (৬০)। তার বাড়ি বাহুবল উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে স্থানীয় আশ্রয়ন প্রকল্পের এক বাসিন্দা তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মা-বাবা ঘরে না থাকার সুযোগে আশ্রয়ন প্রকল্পের আট বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান ছালাম। খবর পেয়ে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। শনিবার রাতেই মেয়েটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান খান
জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
যোগাযোগ করা হলে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটির বাবা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অস্বচ্ছল। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভবানীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে তাকে একটি ঘর দেওয়া হয়েছিল। মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে অবগত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার মেয়ে ও তার বাবা-মাকে নির্বাক থাকতে দেখা গেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এর আগে ছালামের বিরুদ্ধে আরও ছয়টি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতনের শিকার মেয়েদের পরিবারকে টাকা-পয়সা দিয়ে অপরাধ আড়াল করেছেন ওই বৃদ্ধ। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
আরএ