ময়মনসিংহ: প্রতারণার শিকার হয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছে মীম আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী। ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক জহিরুল ইসলাম (১৯) পলাতক রয়েছে।
উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মীম আক্তার ওই গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড নোটে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছে, ‘বাবা মা ভাই বোনরা তোমরা আমাকে কমা করে দিও। বাবা তুমি এরা বাড়ির বাচ্চুর ছেরা জহিরুলেরে কমা করিও না। এ আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বাচে থাকতে পারব না। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিল না। ’
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় মীমের পিতা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি জহিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
মীমের পিতা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার সময় পরিবারের অগোচরে বিষপান করে বাড়ির টয়লেটের পাশে পড়ে ছিল মীম। পরে মা নেহেরা আক্তার তাকে দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৫মিনিটে মীম মারা যায়।
তিনি আরও জানান, পরিবার ও আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি জহিরুল ও মীমের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি জহিরুল সেই সর্ম্পক অস্বীকার করায় আমার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটে সে কথা লিখে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এমএমজেড