ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিডায় সেফটি সেল গঠনের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
বিডায় সেফটি সেল গঠনের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির ...

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কারখানার নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে অনেকগুলো সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। বিডায় সেফটি সেল স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পেলে উদ্যোক্তাদের হয়রানি কমার পাশাপাশি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সহজ হবে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সকল শিল্প কারখানা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন পদ্ধতি ও চেকলিস্টের ওপর আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জসিম উদ্দিন এ আহ্বান জানান।

অক্টোবরে শুরু হওয়া কারখানা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে সব ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পরিদর্শন শুরু হলে দেশের শিল্পখাত দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হবে।

দেশের শিল্পায়ন অগ্রগতি অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে হয়েছে উল্লেখ করে, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, এখন সব শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার সময় এসেছে।

কলকারখানা পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষাপট ও পদ্ধতি উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগ্রে. জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লা।

তিনি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের জাতীয় কমিটি, বিডার নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও তিনটি উপ-কমিটি গঠন করার বিষয়টি জানান।

আবু নাঈম মো. শহীদুল্লা বলেন, ৬৮ ধরনের শিল্পখাতকে অন্তর্ভুক্ত করে দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি বিবেচনায় ৩২টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে মোট ৪৬ হাজার ১০০টি কারখানাকে। তবে প্রথম তিন মাসে ৫ হাজার কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যবেক্ষণে যাওয়ার তিন দিন আগে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হবে।

অগ্রাধিকার তালিকার অন্তর্ভুক্ত শিল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সেফটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্রিগে. জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলি আহমেদ খান। পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে কোন কোন বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করা হবে, তার চেকলিস্ট সম্পর্কে অবহিত করেন আইওটা কনসাল্টিং বিডি’র ফাউন্ডার ও সিইও এবং সেফটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. গোলাম কিবরিয়া।

মুক্ত আলোচনায়, এফবিসিসিআই’র পরিচালকরা, কারখানা পরিদর্শনের নামে অহেতুক হয়রানি না করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সামগ্রির শুল্ক কাঠামো ও বাজার দর কমানোর সুপারিশ করেন।

অনুষ্ঠানে কলকারখানা পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষাপট ও পদ্ধতি, খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার তালিকা ও চেকলিস্টের ওপর তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপিত হয়।  

এসময় আরও বক্তব্য দেন- এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এফবিসিসিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মাহফুজুল হক, বিডার নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
এসই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।