ঢাকা: নদীর দখল-দূষণ রোধে মাদ্রিদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে স্পেনের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নগর ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ সৌজন্য সাক্ষাতকালে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
এ সময় তারা বুড়িগঙ্গার দখল-দূষণ রোধে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ বলেন, মানজানেরে নদীর তীরে গড়ে ওঠেছে মাদ্রিদ শহর। সেই নদীও একসময় দখল-দূষণে মৃতপ্রায় ছিল। কিন্তু দখলমুক্ত ও দূষণ রোধ করে মানজানেরে নদীর পুনঃজীবিত করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে স্পেন ঢাকা শহরের বুড়িগঙ্গাসহ অন্যান্য নদীর দখল-দূষণ রোধে পারস্পরিক সহযোগিতা ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পারে।
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গা নদীর দখল-দূষণ রোধ করার এই প্রস্তাব সাধুবাদ যোগ্য। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে নদীর তীর ও অববাহিকায় নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি। ঢাকা ও মাদ্রিদ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ধারাবাহিক উদ্যোমে সমৃদ্ধি অর্জন ও উপকৃত হতে পারে।
সাক্ষাতকালে স্পেনের রাষ্ট্রদূত বেনিতেজ মাদ্রিদ সিটি কাউন্সিল পরিচালিত পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন ও পরিবেশের উন্নয়নে মাদ্রিদ সিটি করপোরেশন গৃহীত উদ্যোগ ডিএসসিসি মেয়রকে অবগত করেন। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটিকে মাদ্রিদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
এমন প্রস্তাবনার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র তাপস বিষয়টি খতিয়ে দেখে তা ঢাকা শহরেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ডিএসসিসির নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে রাষ্ট্রদূত স্পেনের বিনিয়োগ প্রবাহের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। জবাবে মেয়র তাপস এসব ওয়ার্ডে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে সড়ক-অন্তর্জাল (রোড নেটওয়ার্ক) সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ প্রবাহকে স্বাগত জানান। তবে, স্পেনের বিনিয়োগ যেন সহজ শর্তে এবং ঢাকা শহরের বর্তমান বাস্তবতা ও যথার্থতা বিবেচনায় নিয়ে করা হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
কামরাঙ্গীরচরের সামষ্টিক উন্নয়নে স্পেনের বিনিয়োগ প্রবাহ একটি বড় খাত হতে পারে উল্লেখ করে তাপস বলেন, আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নান্দনিক পরিবেশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি কেন্দ্রীয় ব্যাবসায়িক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখানে ৫০ তলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য অনুষঙ্গ সৃষ্টির পরিকল্পনাও রয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ঢাকা ও মাদ্রিদ এগিয়ে যাবে বলে ডিএসসিসি মেয়র ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
আরকেআর/এমএমজেড
