ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাবার খোঁজ পাইনি, পেয়েছি একটি চিঠি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২১
‘বাবার খোঁজ পাইনি, পেয়েছি একটি চিঠি’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: ‘বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেন। তখন আমার এক বছর বয়স।

বাবার বয়স ৩০ বছর ছিল। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের পর বাবার আর খোঁজ পাইনি। কেবল একটি চিঠি পেয়েছি। তাতে লেখা, উনি দোষী সাব্যস্ত, তার কাপড়–চোপড়গুলো আমরা যেন নিয়ে যাই। ’  

বাবাকে নিয়ে এভাবে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ৪৫ বছর বয়সী নূরে আলম।  

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের নিচতলার মিলনায়তনে শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তার সঙ্গে কথা হয়। সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরে সামরিক আদালতের বিচারের মাধ্যমে দণ্ড পাওয়া সেনা ও বিমানবাহিনীর সামরিক সদস্য ও স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা।

নূরে আলম বলেন, সেদিন কী হয়েছিল, কেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের দোষ-অপরাধ কী ছিল, সন্তান হিসেবে আমি জানতে চাই। বাবাকে কোথায় কবর দেওয়া হলো, তা আমরা এখন জানতে চাই।

অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরে ওই সামরিক আদালতের বিচারের ঘটনায় ফাঁসি হয়েছে আগে। ফাঁসি দেওয়ার পর রায় দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন নজির বিশ্বের কোথাও নেই।

এ সময় জিয়াউর রহমানের মৃত্যু পরবর্তী ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠান থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের তালিকা করা, তাদের নির্দোষ ঘোষণা করা, তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ র‌্যাংকের পদোন্নতি দেখিয়ে বেতন ভাতা, পেনশনসহ সব সরকারি সুযোগ দেওয়া, ওই ঘটনায় নিহতদের শহীদ ঘোষণা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
এইচএমএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।