সিলেট: সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং ক্লার্ককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিম হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন রেলওয়ের কর্মচারীরা।
শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মো. লিপন মিয়া ও মো. লিটন আহমদ আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটটি টিকিট অনলাইনে কেনেন। সেই সফটকপি দেখিয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে মিরাজুল মুমিন ও খালেদুর রহিমের নামে দুই ব্যক্তি আটটি টিকিট নেন। এসব টিকিটের বুকিংয়ে তাদের কারো নাম উল্লেখ ছিল না। এ সময় জিআরপি থানা পুলিশের ওসি আলিম বিষয়টি লক্ষ্য করেন বুকিং ক্লার্ক আব্দুল খালেক দুই ব্যক্তিকে আটটি টিকিট দিচ্ছেন। পরে ওসি আলিম এ বিষয়ে খালেকের কাছে জানতে চান টিকিট বুকিংয়ে ওই দুই ব্যক্তির না থাকা শর্তেও তাদের কেন টিকিট দেওয়া হলো। এক পর্যায়ে আলিম ক্ষিপ্ত হয়ে খালেককে মারধর করেন। পরে আহতাবস্থায় খালেককে রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ে কর্মচারীরা ক্ষুদ্ধ হন। পরে তারা স্টেশন এলাকায় ওসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, নতুন বদলি হয়ে আসা ওসি আলিম হোসেন শিকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জিআরপি পুলিশ সদস্যরা প্রায় দিনই বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্টেশনের গেইটের চেকিং পয়েন্ট পার করিয়ে দিচ্ছেন। ওসির নির্দেশনার বাইরে এমনটি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন সিলেট রেলওয়ে কর্মকর্তারাও।
এ বিষয়ে রেলস্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, টিকিটে যাত্রীর নাম থাকার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। নতুন বদলি হয়ে আসা জিআরপির ওসি টিকিট বুকিংয়ে কারো নাম উল্লেখ না থাকার বিষয়টি নিয়ে বুকিং ক্লার্ককে মারধর করেছেন।
তিনি বলেন, টিকিটে নাম থাকবে কিনা, তা বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বুকিং ক্লার্ককের জানার কথা নয়। তিনি অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন। এটা মোটেও কাম্য নয়।
এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিম হোসেন শিকদারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
এনইউ/আরআইএস