ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু (১৯) হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
রবিবার (১৭ অক্টোবর ) সকালে মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ অক্টোবর বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. মো. রাশেদ হোসাইনের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় নাতি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তারের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু। সে একই এলাকার মো: জিয়াউর রহমানের পুত্র।
অপরদিকে নিহত আব্দুর রশিদ পৌর শহরের নন্দীবাড়ি মাঝিপাড়া মৃত হায়দার আলীর ছেলে। তিনি কাঠের ব্যবসা করতেন।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে নানা আব্দুর রশিদের কাছে টাকা চেয়েছিল নাতি বাবু। কিন্তু দাদা টাকা না দেওয়ায় দু'জনের কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নানা আব্দুর রশিদ হাতের লাঠি দিয়ে নাতিকে শাসন করে। এতে নাতি ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে ঘুমের মধ্যে নানা আব্দুর রশিদের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ আব্দুর রশিদের। পরে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে গর্তে চাপা দিয়ে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় বাবু।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার চার দিন পর ১৪ অক্টোবর রাতে মুক্তাগাছা শহরের ইশ্বরগ্রামের মাঝিপাড়া এলাকা থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ো আব্দুর রশিদের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
পরে ওই দিন রাতেই নাতি বাবুকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৫ অক্টোবর রাতে নিহতের বড় মেয়ে আক্তার বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
এনএইচআর