ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে বিপদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে বিপদ

ঢাকা: ধর্ম নিয়ে বিশৃঙ্খলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র যারা করেন, তারা এগুলো ছেড়ে ভালো হন, না হলে সামনে বিপদ আপনাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

তিনি বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন, তারা আর আগাবেন না।

আমরা অবশ্যই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জনসম্মুখে উপস্থিত করা হবে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টরের ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শেষে ৩০০ দুস্থদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, হিন্দু-মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হাজার বছরের কৃষ্টি। সব উৎসবেই আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের লোকেরা একসঙ্গে অংশ নিয়ে থাকি। একের পর এক উস্কানি দিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনে দেশে বিশৃঙ্খলার একটা প্রয়াস আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা কুমিল্লার ঘটনা দেখলাম, নোয়াখালীর ঘটনা দেখেছি এবং গতকাল রোববার রংপুরে দেখেছি৷ শুরুটা হয়েছিল রামু থেকে, রামুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখেছি। এছাড়া আমরা জঙ্গির উত্থান দেখেছি, সন্ত্রাসের উত্থান দেখেছি। এসব কিছুর একটাই টার্গেট ছিল- সেটা হলো কীভাবে এ বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা যায়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কীভাবে ছিনিমিনি খেলা যায়, তাও আমরা দেখতে পেয়েছি।

তিনি বলেন, গতকাল রংপুরে ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৯০-৯৫টি বাড়িতে লুট করে গরু-বাছুরসহ নিয়ে গেছে। যারা এ কাজ করেছে, তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি ও অ্যারেস্ট করেছি। আমরা শিগগিরই তাদের বিচারের মুখোমুখি করব।

পীরগঞ্জ আমাদের স্পিকারের নির্বাচনী এলাকা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক যাদের বাড়িঘর পুড়েছে, তাদের বাড়িঘর তৈরি করার জন্য টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে কষ্ট না পান, সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরাও সেখানে কাজ করছেন, যোগ করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাৎ বরণ করার পরে আমরা দিশেহারা ও পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রী দেশে এলেন এবং সারা বাংলাদেশকে একত্রিত করেছিলেন। দেশে আসার পর তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে তিনি আজ বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশে পরিণত করেছেন। বিশ্বের বুকেও আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছি। জাতিসংঘ যখন এসডিজি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা দিয়েছে, সেই সময় আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা।

আজ আপনি বাংলাদেশের যে প্রান্তেই যান, সব জায়গায় উন্নয়নের সঙ্গে দেখতে পাবেন বঙ্গবন্ধুকন্যার পপুলারিটি। বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেছেন, তাই করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, বদলে দেবেন বাংলাদেশকে, আজ বাংলাদেশ বদলে গেছে, বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যখন একের পর এক বাস্তবে পরিণত করা হচ্ছে, তখনই এ বিশৃঙ্খলা দেখছি। কিন্তু মুর্খের দল জানে না, তিনি শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, তিনি বদলে দিতে পারেন। কাজেই এ সমস্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে লাভ হবে না। তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। দেশের জনগণ বিশ্বাস করে, তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।

ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হাবীব হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের (ঢাকা-৩) সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এসজেএ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।