ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। এই হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার না হয় সেজন্য খুনির দল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক কুখ্যাত কালো আইন জারি করেছিল বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে এই কালো আইন বাতিল করে সাধারণ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই বিচারের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি আপিল শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান খুনিদের বাঁচাতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ দিয়েছিল। যে কারণে এখনো কয়েকজন খুনির মৃতুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, খুনিরা যেখানেই পালিয়ে থাক তাদের দেশে এনে আদালতের রায় অবশ্যই কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল পিতার সান্নিধ্য পাননি। বেঁচে থাকলে তার জীবনও বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করতেন। শেখ রাসেলের মতো আর কোনো মৃত্যু দেখতে চাই না। শেখ রাসেলের মতো আর কোনো প্রতিভা জোর করে নিভিয়ে ফেলতে দিতে চাই না।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ রাসেল তার স্বল্প জীবনে অনেক কিছুই রেখে গেছেন, যা সত্যিই অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শান্তি এবং ন্যায়বিচারের জন্য আজকের এই কনসার্টের আয়োজন। ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে কালো আইন বাতিল করে নিষ্ঠুর এই হত্যার বিচার করেছেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব শিশুকে শপথ পাঠ করান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার প্রথম বারের মতো ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে শেখ রাসেল দিবস।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ