নীলফামারী: নীলফামারীতে তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন বিপৎসীমার নিচে রয়েছে পানির প্রবাহ।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১২টি চরের শতশত হেক্টরের ভুট্টা, উঠতি আমন ধান, শাক সবজি, পুকুরের মাছ, বসতঘর ও আসবাবপত্র ভেসে গেছে ও বিনষ্ট হয় প্রায় আরও ৫০ কোটি টাকা। যা তিস্তার পানি বাড়ায় প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।
উজানের ঢলের পর পরেই তিস্তার এ বন্যায় নীলফামারী জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস,বিজিবি দ্রুত ছুটে গিয়ে অসংখ্য পরিবারকে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে ডিমলা উপজেলায় জিআর এর ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলোকে ডান তীর বাঁধ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর ডালিয়ার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২.৬০) ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় ৫০ সেন্টিমিটার, ৯টায় ৬০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৭০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফুদ্দৌলা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা জানান, রেড এলার্ড জারি করা হয়েছিল তিস্তা এলাকায়। ফ্লাডবাইপাস ভেঙ্গে যাওয়ায় পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। কোথায় কোথায় ক্ষতি হয়েছে সেগুলো নিরুপণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তবে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে তিস্তাপাড়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এনএইচআর