নরসিংদী: নরসিংদীতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুইটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দুইটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ আসামিকে গ্রেফতারসহ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাসের ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরবর্তীকালে সন্ধান পেয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার রফিক মিয়ার ছেলের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইজিবাইক ছিনতাই করে হত্যা এবং মরদেহগুমের অভিযোগে ইকবাল মিয়া (২০) এবং মো. বাবু মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এছাড়া ১১ অক্টোবর সোমবার শিবপুর উপজেলার ঘাগটিয়া এলাকা থেকে রিয়াদ মিয়া (২৬) নামে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করে শিবপুর থানা পুলিশ।
রিয়াদের ভাইয়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশ উপজেলার নিপা আক্তার (১৯), নরসিংদী সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার দীপু মিয়া (২০), মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের মিজান আহমেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মো. আমিনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। এসময় আমিনের জিম্মায় থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত ১৪ দিনে নরসিংদী সদর, শিবপুর এবং রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতি এবং ডাকাতি করে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় ১৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর বাংলানিউজকে বলেন, অল্প সময়ে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া পুলিশ সুপারের নিয়মিত তদারকির কারণে আমরা ডাকাতি ও দস্যুতা মামলার আসামিদের গ্রেফতারেও সক্ষম হয়েছি। জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এনটি