ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল থেকে কদমী ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তাটি খানাখন্দে বেহাল দশা।
গত ১২ বছরেও ওই রাস্তাটিতে পিচের ছোঁয়া না পাওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই।
এদিকে, রাস্তাটির কারণে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ২৫০-৩০০ পরিবারকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টুংরাইল থেকে কদমী ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় ভাঙা ও দেবে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি ভরে পুরো রাস্তায় পানি বেঁধে যাচ্ছে।
টুংরাইল গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, ভাঙা ও দেবে যাওয়া রাস্তাটি দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে যেতে পারি না। ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে। গত ১২ বছর আগে কাঁচা রাস্তাটিতে ইট বসলেও আজ পর্যন্ত পাকা করা হয়নি।
কদমী গ্রামের বাসিন্দা মো. মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, টুংরাইল ও কদমী গ্রামের বাসিন্দাসহ আশপাশের গ্রামের লোকজনদের এই রাস্তাটিই ভরসা। এটি পাকাকরণ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এই তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তার জন্য সবাইকেপ্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয় । ১২ বছর আগে এ তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ইট বসানো হয়। তার পর আর রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করা হয়নি। এ তিন কিলোমিটার ইটের ভাঙা রাস্তাটির
কারণে দুর্ভোগের সীমা নেই।
এ বিষয়ে রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজার মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তাটির সিডিউল করে উপজেলায় জমা দিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই রাস্তাটি পাকা করার সব ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যদি রাস্তাটির সিডিউল উপজেলায় পাঠায়, তবে আমরা রাস্তাটির পাকাকরণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কাজ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
এসআরএস