ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যশোর শিক্ষাবোর্ডে চেক জালিয়াতি, ফেরত আত্মসাতের ১৫ লাখ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
যশোর শিক্ষাবোর্ডে চেক জালিয়াতি, ফেরত আত্মসাতের ১৫ লাখ 

যশোর: যশোর শিক্ষাবোর্ডে চেক জালিয়াতির অভিযুক্ত হিসাব সহকারী আবদুস সালাম আরও ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।  
দুদকে মামলা হবার পর বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তিনি ডাকযোগে পে-অর্ডারের মাধ্যমে তিনি এই টাকা ফেরত দিয়েছেন।

 

এর আগে, ১১ অক্টোবর একই মাধ্যমে তিনি ১৫ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের হিসাব শাখার উপ-পরিচালক এমদাদুল হক।  

চলতি অর্থবছরে যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করে। এ টাকার জন্য ৭টি চেক জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং শাহী লাল স্টোরের নামে ২টি চেকে ৬১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। ০৭ অক্টোবার বোর্ডের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ওইদিনই কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীকে প্রধান করে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান, সচিবসহ ৫জনকে আসামি করে মামলা করেছেন দুদক।  

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  

আসামিরা হলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু, ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম। দুদকে মামলা হবার পর চেক জালিয়াতির চক্রটির সদস্য পলাতক হিসাব সহকারী আবদুস সালাম নিজেই এই চক্রের সঙ্গে একা জড়িত দাবি করে টাকা আত্মসাতের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ১১ অক্টোবর তিনি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং বৃহস্পতিবার ডাকযোগে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আরও ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।

পলাতক থেকে তিনি এই টাকা ফেরত দিচ্ছেন। এদিকে, মামলা হবার পরও কোনো আসামি আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো নাজমুচ্ছায়াদাত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ৫জনকে আসামি করে মামলা করেছি। দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।  

যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বাংলানিউজকে বলেন, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম টাকা ফেরত দিয়েছেন। আর সচিব মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়ে ৭ দিনের ছুটির আবেদন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১ 
ইউজি/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।