কুড়িগ্রাম: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘তিস্তা নদীর স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রজেক্ট প্রোফাইল শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এটি অনেক বড় প্রকল্প। কবে নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তিস্তাপারের মানুষের আর দুর্দশা থাকবে না।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। সরকার বন্যার্ত ও ভাঙনকবলিতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছে। চারটি জেলার প্রতিটিতে ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পশু খাদ্যের জন্য আরও ২ লাখ টাকা এবং একশ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনীম, ঘড়িয়ালডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার প্রমুখ।
পরে রাজারহাট উপজেলার সরিষাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেলসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চাল, এক কেজি চিড়া এবং আধা কেজি করে ডাল, তেলসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, তিস্তা নদীর ভাঙনের কবলে রাজারহাটের তিনটি ইউনিয়নে আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০১৭টি পরিবার। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের-৮৬৫টি পরিবার, ছিনাই ইউনিয়নে-১২২টি এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ৩০টি পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
এফইএস/আরএ