ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

চার সাংবাদিকের ওপর যুবলীগ নেতার হামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
চার সাংবাদিকের ওপর যুবলীগ নেতার হামলা হামলার শিকার চার সাংবাদিক

ঢাকা: সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর পল্লবীতে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে যুবলীগ নেতা আল মাহমুদ নয়ন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সাপ্তাহিক নতুন বার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন (৪০) নামে এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার  পলাশ নগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় একটি মাদরাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এই হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

ইউসুফ আহমেদ তুহিন বাংলানিউজকে বলেন,  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, যুবলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী পলাশ নগরে একটি মাদরাসা দখল করছে। পল্লবী থানার সেকেন্ড অফিসার কাওসারকে জানিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম ও অনলাইন পোর্টাল জাগো কণ্ঠের ক্যামেরা পারসন মো. আলীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই যুবলীগ নেতা নয়ন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পলাশ নগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় অবস্থিত আনোয়ারুল উলুম মাদরাসা থেকে শিক্ষক ও ছাত্রদের পিটিয়ে বের করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে যুবলীগ নেতা নয়ন, আনোয়ার, আজমান, জালাল, বাদলসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নয়নের সঙ্গে থাকা আজমান নামের এক যুবক তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথায় ও কপালের ওপর আঘাত করে। পরে সহকর্মী ও স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে, পরে ওই রাতে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের মুখপাত্র ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে সেখানে কী হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ১০ মিনিটের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জন এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। কোনো কিছু বলার বা পরিচয় দেওয়ার আগেই ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আরও উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। দুস্কৃতরা আমাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে, সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর পল্লবী থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।