ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জেল হত্যার রায় কার্যকরে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
জেল হত্যার রায় কার্যকরে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর ঘটে যাওয়া জেল হত্যার ঘটনার বিচারের রায় কার্যকর করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে প্রথমে কারাগারে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। পরে জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এসময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। বাংলাদেশ দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্ট ঘটেছে আর অন্যটি ৩ নভেম্বর জেলা হত্যার ঘটনাটি। এ ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীদেরই বিচার হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কিভাবে আইনভঙ্গ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আর যারা পলাতক আসামি রয়েছেন তাদেরকে আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমরা যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় পাবো তখনি ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেল হত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছি।

এ সময় মন্ত্রী ১৯৭৭ সালের সেনা বিদ্রোহের বিষয়ে বলেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে যে হত্যা করেছে সেটিও একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ঐ ঘটনার নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এখনও আহাজারি করছেন। তারা জানতে চায় কেন তাদের বাবা-স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানতে চায় তাদের বাবা-স্বামীকে কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে।  
তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন রয়েছে হাইকোর্টে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই সকল দোষী ব্যক্তিদের যেন বিচার হয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে এবং তাদের ফাঁসি হয়েছে। বিডিআর কাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং আপিল করায় তা এখন উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।  

কিন্তু ১৯৭৭ সালের বিদ্রোহের ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন এই জায়গাটা এখনও কোনো কিছু হয়নি। কোথায় তাদের দাফন করা হয়েছে তা কেউ জানেনা। হত্যার পর তাদের মৃতদেহগুলো পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। তাদের পরিবারের সদস্যরা যে আপিল করেছে আদালতে, আমরা মনে করি এ বিষয়ে আদালত একটি সুষ্ঠু দিকে নির্দেশনা দিবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
পিএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।