ঢাকা: জেল হত্যাকারীদের বিচারে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) সিমিন হোসেন রিমি।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ দাবি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে এমপি সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বিচার সম্পন্ন হওয়া বলতে আপনারা যেটা বলছেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, জেল হত্যাকারীরা প্রায় একই মানুষ। আমি সকল মানুষের, সকল সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে বলতে চাই, বিশ্বের সকল দেশে যেমন একটা বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা থাকে, পাশাপাশি একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়। হত্যাকাণ্ড খালি গুলি করল, চলে গেল, কিন্তু সেটা না। এর পেছনের যারা কারিগর বা কুশিলব তাদেরকে জানার জন্য যেন একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা সুদূর অতীতে না, পাশের দেশের দিকে যদি তাকাই শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পর সেরকম কমিশন গঠন করা হয়েছে, একইসঙ্গে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজীব গান্ধী হত্যার পরেও তাই করা হয়েছে। ১৯৬৩ সালে ক্যানেডিকে আমেরিকায় হত্যা করা হয়। সেসময়ও আলাদা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কারণ আলাদা কমিশন ছাড়া কারা ঘটনার পেছনে ছিল, সেটা জানা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু শোক প্রকাশ করতে চাই না, কাঁদবো আর আসবো আর সেই দিনকে স্মরণ করবো সেটা নয়। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মনে করি যে, মানুষদের হত্যা করলে দেশের চেহারা বদলে যায়, রাষ্ট্রের চিন্তাধারা বদলে যায় সে মানুষদের যথাযথ মর্যাদায় সম্মানের সঙ্গে নাগরিকদের সামনে তাদের জানানো উচিৎ অনুপ্রেরণার জন্য। তাদের আড়ালে রেখে কোনদিনও আমরা সোনার বাংলা গড়তে পারবো না।
সৈয়দ এম মনসুর আলীর তৃতীয় ছেলে রেজাউল করিম বলেন, ৩ নভেম্বর জেলখানায় যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তার ৪০ বছর হয়ে গেল তদন্ত কমিশনসহ বিভিন্ন দাবি উঠছে। কিন্তু একটা তদন্ত কমিশন সে সময় গঠিত হয়েছিল, সেটার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কেউ জানতে পারেনি এখনও। জেলখানায় তৎকালীন অবৈধ প্রেসিডেন্ট মোস্তাকের নির্দেশে জেলখানায় ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। তৎকালীন জেল কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা ছিল, আমরা জানতে চাই। এছাড়া জাতীয় চার নেতার যে ভূমিকা ইতিহাসে যথাযথ তাদের মূল্যায়ন করা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
পিএম/জেএইচটি