ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বাসে পা রাখার জায়গাও নেই, সিট পাওয়া তো দূরের কথা!
তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে চলছে বাস-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ধর্মঘট।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বাড্ডা, গুলশান মহাখালী ও গুলিস্তান এলাকার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দেখা যায় যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন যানবাহনের জন্য।
অনেকক্ষণ পর পর বিআরটিসির একটি করে বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মাঝে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি, বাসে ওঠার মরিয়া প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় ভাগ্যবান কয়েকজনই মাত্র বাসে চড়তে পারেন। কারণ, আগে থেকেই প্রতিটি বাস যাত্রীবোঝাই হয়ে এসেছে স্টপেজে।
মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত বুলবুল চৌধুরী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বিআরটিসির বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যাব কুড়িল বিশ্বরোড, বিআরটিসির বাসের জন্য দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। বয়স্ক লোক তো তাই উঠতে পারছি না। আগে থেকেই যাত্রীরা বাসের ভেতর ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আছে। যদি রিকশা ও সিএনজি করে যাই তাহলে আমার দুই দিনের বাজারের টাকা তাদের দিয়ে দিতে হবে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়া আমার চলাচলের কোনো উপায় নেই।
দূর থেকে বিআরটিসির একটি বাস আসতে দেখে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যাত্রীর কথপোকথন শোনা যাচ্ছিল। একজন বললেন—দেখেন, ওই যে বিআরটিসি বাস আসছে। অপরজন বললেন—সিট পাওয়া যাবে তো? উত্তরে প্রথমজন বললেন—বাসের সিট এখন ভাগ্যের ব্যাপার, উঠতে পারেন কিনা সেইটা দেখেন!
তবে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্মঘটের কারণে যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিআরটিসি আগের নির্ধারিত ভাড়াতেই রাজধানীতে বাস চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ