ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরি হবে বিশ্বমানের গাড়ি

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরি হবে বিশ্বমানের গাড়ি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) থেকে: দেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের গাড়ি। এর ফলে যেমন গাড়ির মূল্য সাশ্রয় হবে, তেমনি কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে সাধারণ মানুষের।

ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরেক ধাপ।

সত্যিই তাই, এক যুগ আগেও যেখানে এমন স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনা ছিল, আজ তা ধরা দিচ্ছে বাস্তবে। দেশের বিভিন্ন হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায়। আর তার রেশ ধরেই নিজেদের দেশেই তৈরি হবে উন্নত মানের গাড়ি।

শনিবার (৬ নভেম্বর) গাজিপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ট্যুরে’ অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন কথা জানান বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক এএনএম রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগামী দিনে ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক বড় সুনামের অধিকারী হবে ও পরিচিতি পাবে। আপনারা জানেন ওয়ালটন, সেটাকেও আমরা হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করেছি। ওয়ালটন কিন্তু এখানেও জায়গা নিয়েছে। আমাদের স্যামস্যাং, ফেয়ার গ্রুপ, তাদের যে প্রতিষ্ঠান, সেটিও হাই-টেক পার্ক। আমরা প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করেছি। তারাও বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে জায়গা নিয়েছে এবং ডেভলপমেন্টের কাজ চলছে। অচিরেই তারা এখানে গাড়ি উৎপাদন শুরু করবে। তারা কিন্তু কাজ করছে। ওয়ালটন আছে এখানে, আরও কিছু কোম্পানি পণ্য রপ্তানি করছে। আমরা বাংলাদেশকে আগামী ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির ক্ষেত্র শুধু আমদানিকারক দেশ হিসেবে নয়, রপ্তানিকারক দেশ হিসেবেও তৈরি হবে। এ বিষয়টি সামনে নিয়ে আমরা কাজ করছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, এ বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে আমাদের যতগুলো কোম্পানি তার শতকরা ৯০ শতাংশ ডিজিটাল তৈরি করছে। এ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো যখন আমাদের এখান থেকে তৈরি হবে তখন এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। শুধু এখানে নয় সিলেটেও আমাদের কার্যক্রম চলছে। সেখানেও ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি হবে।  

বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণ শুরু হলে বিশ্বের কাছে যেমন বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়বে, তেমনি এ কারখানা বাংলাদেশে যোগাযোগ ও কর্মসংস্থান তথা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য দিন বদলের উপাখ্যান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন উপস্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন সেই স্বপ্ন ধরা দিয়েছে বাস্তবতায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।