ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

হাসপাতালে যেতে টার্মিনালে বসে কাঁদছিলেন সখিনা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
হাসপাতালে যেতে টার্মিনালে বসে কাঁদছিলেন সখিনা!

নীলফামারী: তৃতীয় দিনের মতো নীলফামারী জেলাতেও পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। জেলায় তিন শতাধিক বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

অনেকে জরুরি প্রয়োজনে মাইক্রোবাস, ইজিবাইকে তিনগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করছেন।

রোববার (৭ নভেম্বর) জেলার সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালের ভেতরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এসময় রংপুরগামী একটি বাস হলুদ পতাকা লাগিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বিআরটিসি নিয়মিত চলাচল করলেও সেখানে আসন পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে টার্মিনালে রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন সখিনা বিবি (৪৫) নামে এক নারী।

অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাবেন। রোগীর জন্য রান্না করে এনেছেন তিনি। তবে টার্মিনাল থেকে বাসা না ছাড়ায় একপর্যায়ে কেঁদে ওঠেন তিনি। পরে ৩০০ টাকায় ইজিবাইক ভাড়া করে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

এদিকে কয়েকজন মিলে মাইক্রোবাসে যাতায়াত করছেন অনেকেই। তবে এ ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ও তিনগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।

নীলফামারী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনওয়াজ শানু ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ায় গোটা জেলায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে করে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুরের অভ্যন্তরীণ রুট ও দূরপাল্লার কোনও বাসই চলাচল করছে না।

নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই। ডিজেলের দাম বাড়ায় এবং অনেক বাস মালিক চালকের কাছ থেকে চাবি নেওয়ায় বাস চালাতে পারছেন না শ্রমিকরা। সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।