দুই কিডনি একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে ৪৫ বছর বয়সী ফাতেমা বেগমের। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, দ্রুত ডায়ালাইসিস শুরু করতে হবে কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
কিন্তু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় দিন পার করছেন রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার হতদরিদ্র ফাতেমা বেগম। সময় যত পার হচ্ছে, চিকিৎসা শুরু করতে না পারার কারণে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, ফাতেমা ক্রনিক কিডনি ডিজিসে আক্রান্ত। গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (জিএফআর) ১৪-তে নেমে গেছে। কিডনি নষ্ট হওয়ার পাঁচটি ধাপের মধ্যে উনি পাঁচ নম্বর ধাপে রয়েছেন। জিএফআর ১৫-এর নিচে নেমে যাওয়াটা খুবই খারাপ অবস্থা। আর ক্রিয়েটিনিন ৫.২-এ উঠে গেছে। সে ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস শুরু কিংবা কিডনি পরিবর্তন করার বিকল্প নেই।
প্রথমে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেন ফাতেমা। পরে ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা. হামুদুর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। ফাতেমাকে দ্রুত উচ্চতর চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ফাতেমার মা লতিফা বেগম মেয়েকে নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চান। তবে কিডনি নিয়ে মাকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলতে চান না ফাতেমা। বর্তমানে তিনি নানা রকম শারীরিক জটিলতায় দিন পার করছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফাতেমা বলেন, জমি জায়গা বলতে কিছুই নেই আমাদের। মাটির একটা ঘর ছিল, সেটাও পানি পড়তে পড়তে ধসে গেছে। এখন দেবরের বাড়ির একটা ঘরে থাকি। নিজে কাজকর্ম করে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে কোনো মতে দিন পার করি। আমি মরে গেলে লোকটার কী হবে সেটা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে। কিডনি বদলানোর সামর্থ্য আল্লাহ দেয়নি। মরে যেতে তো কেউ চায় না; টাকা থাকলে ডায়ালাইসিস করে নিতাম। কিন্তু এত টাকা খরচ করে ডায়ালাইসিস করানো আর ওষুধ খাওয়ার মতো সামর্থ্য তো নাই। এভাবে এখন আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখে।
কিডনির চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষ এবং প্রবাসীদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন হতদরিদ্র ফাতেমা বেগম।
যোগাযোগ ও সহায়তা পাঠাতে চাইলে
01784136360 (বিকাশ পার্সোনাল, নগদ)
01713722134 (বিকাশ পার্সোনাল)
017137221347 (রকেট)
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
জেএইচটি