ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইন্দুরকানীতে খাল দখল করে চলছে ভবন নির্মাণ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
ইন্দুরকানীতে খাল দখল করে চলছে ভবন নির্মাণ 

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে খাল দখল করে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।  

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ইন্দুরকানী বাজার সংলগ্ন ইন্দুরকানী-সন্নাসী এলজিইডি রাস্তার পাশের বলেশ্বর  খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

জানা যায়, উপজেলার কালাইয়া গ্রামের সূর্য কান্তি বৈদ্যর ছেলে দুলাল বৈদ্য রাস্তার পাশে লম্বা-লম্বিভাবে এক শতাংশ জমি কেনেন। পরে সেখানে অবৈধভাবে খাল ভরাট করে নির্মাণ করতে শুরু করেছেন ভবন।  

স্থানীয়রা জানান, খালটি উপজেলা সদরে হওয়ায় এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন নৌ-যান চলাচল করে। এ খাল দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের জন্য বিভিন্ন পণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ট্রলার, কার্গো ও নৌকা চলাচল করে। খাল ভরাট করে যেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে খালের পরিধি ছোট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে জোয়ার-ভাটার স্রোত কমে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ভবন সংলগ্ন এলডিইডি রাস্তাটি ভবনের কাজ করায় মধ্যখান থেকে ফাটল দেখা দেয়। নির্মাণাধীন ভবনটি রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।  

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাহমুদুল হক দুলাল জানান, খাল ও রাস্তার মাঝে এক শতাংশ জমি কিনে অবৈধভাবে খালের আরও অন্তত এক শতাংশ জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করা হলেও তেমন কোনো ভূমিকা নেওয়া হয় নাই।
 
জমি বিক্রেতা আতাফ হোসেন বলেন, গত ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় দুলাল বৈদ্যর কাছে এক শতাংশ জমি বিক্রি করি। দুলাল আমার ও সরকারি খালের আরও জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। বর্তমানে ওই জমিতে রাস্তা ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করছেন।  

অভিযুক্ত দুলাল বৈদ্য ওই জমি নিজের বলে দাবি করে জানান, তিনি কোনো সরকারি জমি বা অন্য কারো জমি দখল করেননি।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফুন্নেছা খানম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এলজিইডি ও 
ভূমি অফিসকে তাৎক্ষণিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।