ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিগগিরই প্রযুক্তি নগরী হয়ে উঠবে রাজশাহী: পলক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
শিগগিরই প্রযুক্তি নগরী হয়ে উঠবে রাজশাহী: পলক

রাজশাহী: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় রাজশাহীর মাটিতে হাইটেক পার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে রাজশাহী পদ্মাপাড়ে ৩০ একর জমির ওপর হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

খুব অল্প দিনের মধ্যে রাজশাহী একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক আয়োজিত স্টার্টআপ ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের রূপকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে। 'আমরা শিল্প বিপ্লবের অংশ হবো না, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেব' সজিব ওয়াজেদ জয়ের এই উক্তি উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন উদ্ভাবন খুঁজতে হবে, নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আজকে যারা স্টার্টআপ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে তারাই বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে নেতৃত্ব দেবে। তাই বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জন্য সব ধরণের সুবিধা আইসিটি বিভাগ থেকে দেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় রাজশাহী নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সুস্থতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, যিনি নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়েছেন তিনি তাড়াতাড়ি অসমাপ্ত কাজগুলোও সমাপ্ত করবেন। আমরা সবাই মিলেই রাজশাহীকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

স্টার্টআপ ক্যাম্পের উদ্বোধন শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সেশন পরিচালনা করেন। সেশানে তিনি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তৈরি করা সুযোগগুলো তুলে ধরেন।

এরপর মন্ত্রী সাতজন উদ্যোক্তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের স্পেসের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন এবং উক্ত স্পেস উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়- বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সারাদেশে স্থাপিত সব স্থাপনাগুলোতে কমপক্ষে একটি করে ফ্লোর স্টার্টআপসমূহের জন্য বিনামূল্যে বরাদ্দ দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ এই ফ্লোরগুলোতে বিদ্যমান মোট ১৫১টি স্টার্টআপ এক বছরের জন্য কো-ওয়ার্কিং স্পেস, লজিস্টিক ও ইউটিলিটি সাপোর্টের পাশাপাশি তাদের জন্য এক বছর ব্যাপি ইন-হাউজ মেন্টরিং ফর স্টার্টআপের (আইএমএস) উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এসএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।