ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আর্থিক বিষয় নিষ্পন্ন ও বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্নের জন্য এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এ কথ্য জানানো হয় ৷
রোববার (৩০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য প্রকাশনা ও সাহিত্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল মাল আবদুল মুহিত।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যক্রম ও মেয়াদ বৃদ্ধি, কমিটির প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থসমূহের প্রকাশনা উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।
সভার শুরুতেই জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন প্রকাশনা উৎসব আয়োজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন, কমিটির আর্থিক বিষয় নিষ্পন্ন ও বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্নের জন্য এ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সবাইকে অবহিত করেন।
সভায় গত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে ড. রফিকুল ইসলামের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
সভায় প্রধান সমন্বয়ক জানান, গত ১২তম সভার পরবর্তী সময়ে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক প্রতিপাদ্যে’ ১৬-১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনসহ দুটি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ করা হয় এবং ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মিলনায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মুক্ত স্বদেশে জাতির পিতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে প্রচারিত হয়।
এছাড়াও সভায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাস্তবায়ন কমিটির দুই বছরের কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ, অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ এবং বাস্তবায়ন কমিটির কয়েকটি প্রকাশনা উৎসব আয়োজন, বঙ্গবন্ধু স্কলার এবং বঙ্গবন্ধু কুইজের চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর এমপি, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান ইমাম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম মাসুরা হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রমুখ ৷
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এসকে/এএটি
.jpg)
.jpg)
