ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই ভাইকে বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
দুই ভাইকে বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যেমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (২৪)। বাড়ি উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের দক্ষিণ জিন্নাত পাড়া এলাকায়। তিনি উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বাটুভিটা নুরানী এতিম খানা ও মাদরাসার শিক্ষক।

এর আগে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় মাদরাসার ভুক্তভোগী এক ছাত্রের বাবা রাতেই বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই মাদরাসাটি ৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে এক ব্যক্তি নিজের ছেলে (১২) ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে (১০) হাফেজি পড়ার জন্য বাটু ভিটা নুরানী এতিম খানা ও মাদরাসায় ভর্তি করান। দুই ছাত্রই মাদরাসার আবাসিকে থাকত। গত ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোরে অভিযুক্ত শিক্ষক দুই চাচাতো ভাইয়ের বড় জনকে (১২) নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এর আগে তিনি ছোট জনকেও (১০) গত ২৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে বলাৎকার করেন। পরে বিষয়টি ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারেন স্থানীয়রা।

২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে বড় ছাত্রের (১২) বাবা মাদরাসায় ছুটে যান। পরে ওই শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব স্বীকার করে দুই ছাত্রের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রের বাবা বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে আমার ছেলে ও ভাতিজাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই মাদরাসা শিক্ষককে রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।