ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আদালতের নির্দেশে ৯ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য ধ্বংস

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
আদালতের নির্দেশে ৯ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য ধ্বংস স্তূপাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে আদালতের নির্দেশে প্রায় ৯ লাখ টাকারও বেশি সমমূল্যের জব্দকৃত অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট এবং জব্দকৃত চকলেট আগুনে পুড়ে ধ্বংস করলো মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।
 
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানা প্রাঙ্গণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত ৯ লাখ ৩১ হাজার শলাকা অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট, চকলেটসহ বেশ কিছু পণ্য পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধ্বংস করা ভারতীয় এসব নাসির বিড়ির বাজার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকারও বেশি হবে।
 
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান (জিয়া), সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক, ওসি (তদন্ত) গেলাম মর্তুজা ও মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দিনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
 
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ২০১৯ ও ২০২০ সালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে চালানো অভিযানে ৯ লাখ ৩১ হাজার অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও মেয়াদোত্তীর্ণ কিটক্যাট চকলেট, ওরিও বিস্কুট, এলোভেরা জেলসহ নানা ব্র্যান্ডের বেশ কিছু পণ্য জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় থানায় দায়ের করা (ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি) মামলা পরবর্তীতে আদালতে দাখিল করা হয়। থানার মালখানায় সংরক্ষিত জব্দকৃত পণ্য মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দিন পুলিশের পক্ষে জেলা দায়রা জজ আদালতে  ধ্বংসের জন্য আবেদন করেন।  
 
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, থানা ভবনের একটি মাত্র কক্ষে জব্দকৃত এসব পণ্য সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে জায়গার অভাবে সংরক্ষিত পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণ হয়ে করোনাকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এমন কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি জব্দকৃত পণ্যের নমুনা রেখে দিয়ে অবশিষ্ট আলামত ধ্বংসের আবেদন করা হলে আদালত তা ধ্বংসে আদেশ দেন। এর পরই পুলিশ এসব পণ্য ধ্বংসে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  
 
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান (জিয়া) জানান, থানা থেকে বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করা হলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নমুনা রেখে দিয়ে অবশিষ্ট আলামত ধ্বংসে নির্দেশ দেন। আমরা আদালতের নির্দেশে কিছু আলামত সেম্পুল হিসেবে রেখে অবশিষ্ট আলামত ধ্বংস করেছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
বিবিবি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।