ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে ৫ মৃত্যু, আটক ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে ৫ মৃত্যু, আটক ৪

চাঁদপুর:  ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী ট্রলার ডুবে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাল্কহেডের চার শ্রমিককে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটক শ্রমিকরা হলেন- মো. জাবেদ, আবুল বাশার, মো. ইউনুস ও দিদার। তারা সবাই ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের শ্রমিক।

এর আগে ভোর ৬টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত শ্রমিকরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার বহরা গ্রামের মোবারক হোসেন (৫৫), একই এলাকার মাদবপুর গ্রামের আল আমিন (৩৫), তিতাস থানার ধুলারাসপুর এলাকার চাঁনপুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন (৩৫), ট্রলারের মাঝি মুরাদনগর থানার রঘুনাথপুরের মো. আউয়াল (৬৫) ও কুমিল্লা তিতাস থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম কালা (৪০)।

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে বাল্কহেডটি চাঁদপুর থেকে বালু নিয়ে হাজীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলার মৈশাদী এএমএস ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে যাচ্ছিল। পথে মমিনপুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর বাঁকে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ শ্রমিকও পানিতে ডুবে যান। পরে কুমিল্লার তিতাস থানার মো. আবুল কাশেম, মো. ইউনুছ, মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. জলিল, মুরাদ নগরের আল-আমিন ও মুরাদ নগরের মো. দেলোয়ার সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পাঁচজন পানিতে তলিয়ে যান। এর মধ্যে মাঝি আউয়ালকে প্রথমে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিখোঁজ বাকি চারজনের মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: ডাকাতিয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি, ৫ শ্রমিকের মৃত্যু

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বিল্লাল বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের ইউপি সদস্যরা ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজনকে মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে এসেছি। রাতে এ নদীতে ঝুঁকি নিয়েই বালুবাহী বাল্কহেড চলা ফেরা করে। শীত মৌসুমে কুয়াশার মধ্যে আরও বেশি ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে নদীর বাঁক ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। ইটভাটার মাটিবাহী ট্রলারের সংখ্যাও বেড়েছে।  

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উত্তরের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাহিদুল ইসলাম জানায়, নদী থেকে আমাদের ডুবুরি দল চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আরেকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে ট্রলারটি এখনো ঘটনাস্থলেই ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে।

চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের চার শ্রমিককে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।