ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
পাবনায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে আবু সাঈদ খান

পাবনা: পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ (৫২) তিনজনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

 

পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভাঁড়ারা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি আবু সাইদসহ ৫ আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে ৩১ জানুয়ারি আসামিরা জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদের মধ্যে দুইজনের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এই মামলার বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।

জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন- ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের মৃত হাচেন খাঁর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২), বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস (৫৩), নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলে সমো (৩১)।  

যাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন- ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম (৩৩) ও চক ভাড়ারা গ্রামের রানু শেখের ছেলে শামসুল শেখ (৪০)। এই আদেশের পরে আসামিদের পাবনা কোর্ট চত্বর থেকে পুলিশী কড়া নিরাপত্তা বেষ্টুনিতে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ভাঁড়ারা ইউনিয়নসহ চতুর্থধাপের গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খুনের ঘটনার কারণে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। বাকি ৯টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর সকালে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি গ্রামের চারাবটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক ভোটের প্রচারণায় বের হন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত ইয়াসিন আলমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরের দিন ১২ ডিসেম্বর রাতে নিহত ইয়াসিন আলমের বাবা মোজাম্মেল হোসেন মুজাই খাঁ বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।