ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যেভাবে রাখা হয়েছে প্রদীপ-লিয়াকতকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
যেভাবে রাখা হয়েছে প্রদীপ-লিয়াকতকে

কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নেছার আলম বাংলানিউজকে বলেন,  রায় ঘোষণার পরে কারাগারে আনা হলে তাদের হাজতিরদের নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে তাদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।  কক্সবাজার কারা কনডেম সেল আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল নেই।  আমাদের কারাগারে সেলত আছে।  যে কোন সেলকে কনডেম সেল ঘোষণা করা য়ায়। সে হিসেবে কনডেম সেল ঘোষণা করে রাখা হয়েছে।  জেল কোড অনুযায়ী প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিদের কিভাবে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয়জনকে ছয় সেলে রাখা হয়েছে।  জেল কোড অনুযায়ী প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।  

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং মাদক আইনে এসব মামলা হয়। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় নিহত সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। আর রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলায় আসামি করা হয় নিহত সিনহার অপর সফরসঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।