ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ঢাকা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়েছেন।  

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে  ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন তিনি।

ঢাকা বিভাগের পাঁচ সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মর্জিনা আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মুক্তা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মোছা. আলেয়া বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকার পল্লবীর রোকছানা পারভীন দীপু।  

এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি দেয়। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।  

তিনি বলেন, আজ দেশের শতকরা ৮০ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। এর ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন।  

বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আমরা যদি বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে না পারি তাহলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বে। বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার আহবান জানান তিনি।  

তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বৈষম্যহীন ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

অনুষ্ঠানে সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রের পথ সুগম ও মসৃণ করছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশের উন্নয়ন দুই কারণে হয়েছে। এক হলো নারীদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ করে দেওয়া। আর বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম রূপান্তর হওয়ায় সব সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।