ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নকল পণ্যের অভিযোগে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ডিএমডির নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
নকল পণ্যের অভিযোগে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ডিএমডির নামে মামলা

কুমিল্লা: দামি ব্র্যান্ডের আড়ালে নকল পণ্য দেওয়ার অভিযোগে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জি. একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে মামলা করা হয়েছে।  

কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে মামলাটি করেন শিল্পী আক্তার নামে এক গ্রাহক।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী আঁখি মাহমুদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ কোম্পানিটি মানুষের কাছে নকল পণ্য বিক্রি করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শিল্পী আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিল্পী আক্তার কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা। অনলাইন পেজে মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ নামে একটি ফ্রিজ দেখে ১৪ মার্চ কুমিল্লার ঝাউতলা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শো-রুমে গিয়ে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এর আগে শো-রুমের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। ফোনে একাধিক কর্মকর্তা তাকে নিশ্চিত করেন যে তাদের কাছে মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজটি রয়েছে। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে তিনি শো-রুমে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, সেই ফ্রিজে নেই কোনো লোগো বা স্টিকার। পরে এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা নিজেরা এসে হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ফ্রিজটি তার কাছে গছিয়ে দেন। তিনি বাড়ি আসার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। এরপর একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ানকে দেখানো হলে তারা ফ্রিজটি নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। এরপর শিল্পী আক্তার ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শো-রুম কর্তৃপক্ষ ফেরত নিতে অস্বীকার করে।  

মামলার বাদী বলেন, আমি চাই, আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয়, তাই মামলাটি করেছি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের জি এম (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক ও কুমিল্লার ঝাউতলা 
শো-রুমের সনি র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শো-রুমের সনি র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে, এটি মালয়েশিয়ার তৈরি ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করেছি। যদি আমাদের নামে মামলা হয়ে থাকে, তবে আমরা এ বিষয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।