ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিএসপি বন্ধ করে কার টুঁটি চেপে ধরতে চান: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
জিএসপি বন্ধ করে কার টুঁটি চেপে ধরতে চান: আইজিপি

ঢাকা: একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, 'আপনারা রাজনীতি করেন জনগণের জন্য। আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

দেশের জিএসপি বন্ধ করে কার টুঁটি চেপে ধরতে চান? আপনারা কারা, কি চান? হু আর ইউ?'

শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মুজিব শতবর্ষে স্মারকগ্রন্থ 'অনশ্বর পিতা'র মোড়ক উন্মোচন ও 'রঙ তুলিতে আঁকি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ' শীর্ষক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।

মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে আইজিপি আরও বলেন, একটি দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চিঠি লিখেছে দেশের জিএসপি বন্ধ করার জন্য। আমরা দেখি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার জন্য। জিএসপি বন্ধ হলে কার ক্ষতি হবে? অর্থনৈতিক অবরোধ হলে কার ক্ষতি হবে? 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনীতির কারণে দেশে যে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, তার পেছনে বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কারণ, আমরা এ দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক শান্তি এবং সামাজিক শৃঙ্খলা আমরা এই পুলিশ বাহিনী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। যার কারণে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য যে অনুকূল পরিবেশের দরকার, তা তৈরি হয়েছে। বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট আসার যে অনুকূল পরিবেশ, বাংলাদেশে এখন যে বিদেশি ইনভেস্ট করতে ভরসা পায়, সাহস পায়। কারণ এখানেই অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, এক শ্রেণির মানুষ ক্রমাগত আমাদেরকে খামচে ধরে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে নিতে চায়। ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষেপ করতে চায়। বারবার তাদের শকুনী হামলা করছে। সেই হামলা কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে  স্বাধীনতার সুফল আমাদের দেশবাসী উপভোগ করতে পারে। সেটিকে যাতে কেউ ধ্বংস করতে না পারে।

গতকাল রাতে একটি অনুষ্ঠানের উদাহরণ টেনে আইজিপি বলেন, এই কারণে গতকাল রাতে সংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা বলেছি। আমাদের মধ্য থেকে এই কলুষিত অংশ, এই দুষিত অংশ, উন্নততর মূল্যবোধ, উন্নততর জাতীয়তাবোধ উন্নততর আত্মশ্লাঘার মাধ্যমে এই সমস্ত কলুষিত অংশকে আমাদের জাতিসত্ত্বার শরীর থেকে পরাজিত করতে হবে। সেজন্য সমৃদ্ধতর সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দরকার আছে। আমরা সামনে এগিয়ে যাব দুর্বার গতিতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
এসজেএ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।