বরগুনা: বরগুনার বামনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পুলিশ কমিশনারের (ডিআইজি)কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন এক নারী। ওই নারীর অভিযোগ, ঘুস ফেরত দিতে বাধ্য হওয়ার পর ওসি বশিরুল আলম ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক এর মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত বশিরুল আলম বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত আছেন। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক ওসির বশিরুলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর বোনের অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার খোলপটুয়া বাজারে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিকের কাজ থেকে কিছুদিন আগে বামনা থানার ওসি বশিরুল আলম কিছু ইলেকট্রিক পণ্য ক্রয় করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ওসি বশিরুল আলম নিন্মমানের তার বিক্রির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী রাসেলকে থানায় ডাকেন। পরে স্বজনরা থানায় গেলে ওসি বলেন,‘রাসেল নিন্মমানের তার বিক্রি করে। ওকে এখন কোর্টে চালান দেওয়া হবে’।
এসব ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা ব্যবসায়ী রাসেলের স্বজনের কাছে ঘুষ দাবি করেন। পরে স্বজনরা ২০ হাজার টাকা দিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে রাসেল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর ওসি বশিরুল আলম ঘুষের টাকা রাসেলকে ফেরত দিয়েছেন।
রাসেলের বোন শাহানা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ওসি বশিরুল আলমম ইলেকট্রিক কিছু তার কেনেন আমার ভাইয়ের দোকান থেকে। তারের মান খারাপ এই বলে থানায় ডাকেন এবং তাকে জিম্মি করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা ২০ হাজার টাকা দিয়ে ভাইকে থানা থেকে মুক্ত করে আনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
এসআইএস