সিরাজগঞ্জ: পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে গার্মেন্টস কর্মী মোন্নাফ শেখকে (৪৫) কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন তারই স্ত্রী কহিনুর বেগম।
বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক।
গ্রেফতার পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর হোসেন (৩৩) বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার হাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২১ মার্চ রাতে রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার নিজ ঘরে একা ঘুমন্ত অবস্থায় গার্মেন্টস শ্রমিক মোন্নাফ শেখকে কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে নিহতের সর্ম্পকে ভাতিজা আলমগীরের সঙ্গে তার স্ত্রী কহিনুর বেগমের পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে। ঘটনার কয়েকদিন আগ থেকে এ হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার রাতেই আলমগীর হোসেন কামারখন্দে তার শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিল। এরপর বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আলমগীর হোসেন ও নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগমকে গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাত দা উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হলে কহিনুরের সঙ্গে যোগসাজশ করে মোন্নাফকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আলমগীর। তারা দুজন ছাড়া অন্য কেউ এ ঘটনায় জড়িত ছিল না।
ওসি বলেন, হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে বলা হয়েছিল। ওই সময় বাদী অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করলেও সন্দেহভাজন হিসেবে প্রতিবেশী ৯ জনের নাম মামলায় উল্লেখ করেছিলেন। পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তের কারণে প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
আরএ