ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রড বের হয়ে সেতু হয়েছে ‘মরণ ফাঁদ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
রড বের হয়ে সেতু হয়েছে ‘মরণ ফাঁদ’ গৈলঝাড়া উপজেলার রথখোলা-তালের বাজার সড়কে খালের ওপর নির্মিত সেতু

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রথখোলা-তালের বাজার সড়কের একটি সেতুর মাঝে গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজারো লোকজন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা এলজিইডি বিভাগের এই সেতুর সংস্কারের ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা-তালের বাজার-রামের বাজার সড়কের ভদ্রপাড়ার ওয়াপদা খালের ওপর দীর্ঘ ২০ বছর আগে একটি ঢালাই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের ৪-৫ বছরে পরেই ওই সেতুর বিভিন্ন স্থানে ভেঙে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের কারণে সেতুটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। গর্তের মধ্যে কাঠ দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সেতু দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো লোকজন চলাচল করে। রাতের অন্ধকারে সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন। যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ না থাকায়, মৃত্যুফাঁদ জেনেও পার হচ্ছে গ্রামবাসী।

সরেজমিন গিয়ে সেতুটির বেহাল দশা দেখা যায়। সেতুর দুই পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সেতুটি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন একাধিক লোকজন। শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই করুণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া জমি থেকে ধান আনার জন্য কোনো গাড়ি চলাচল করতে না পারায় কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন।

স্থানীয় শাহজাহান সরদার বলেন, কৃষি মৌসুমে কয়েকশ একর জমির ফসল আনা-নেওয়া করা হয় এই ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে।

খোকন তালুকদার নামে আরেকজন বলেন, প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত এই সেতুর ঢালাই ধসে গিয়ে রড বের হয়ে গেলেও সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

ভদ্রপাড়া গ্রামের আনিচ সরদার, জালাল সরদার জানান, সেতুটিতে মানুষ উঠলে কাঁপতে থাকে। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবত শুনি সেতু মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত আর হয় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ওই স্থানের সেতুর ব্যাপারে আমাদের প্রকল্প দেওয়া আছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই সেতুর নির্মাণকাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।