ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

আজ থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
আজ থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে। চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে।  ইন্টারনেটেও ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে।

'টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট কিনতে হবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরৎ নেওয়া হবে না।

যাত্রীর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ৫টি কেন্দ্র টিকিট বিক্রি করা হবে। স্থানগুলো হলো- কমলাপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।

গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কাউন্টার থাকবে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র কোচ সংযোজন করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা হতে বর্হিগামী ট্রেনে প্রতিদিন মোট আসন সংখ্যা হবে ২৬ হাজার ৬শ’ ৬৩টি, যার অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে এবং অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। ঢাকা হতে ২টি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের আরও ১৫০০ আসনের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হবে।

ভ্রমণের সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের সাত দিন পূর্বে ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অফ-ডে থাকবে না এবং ঈদ পরবর্তীতে যথারীতি অফ-ডে কার্যকর করা হবে। অফ-ডে প্রত্যাহারের ফলে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তঃনগর ট্রেন বিশেষ টিপ হিসাবে পরিচালিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

ঈদে ফেরত টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে, চলবে ৪ মে পর্যন্ত। ২, ৩ ও ৪ মে এর অগ্রিম টিকিট বিক্রি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৯২টি (পাহড়াতলী ওয়ার্কশপ থেকে ৭৩টি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ হতে ১৯টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে পুলিশ এবং র‌্যাব সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকেবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এমআইএইচ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।