ঢাকা: অবৈধ হলেও নিজ বাড়িতে বিস্ফোরক মজুদ করে আতশ, পটকা, চকলেট বাজি তৈরি করে আসছিলেন বোরহান উদ্দিন। বিস্ফোরণে দুই নারী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর জানা গেল দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে অবৈধভাবে এ কারখানা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাজি তৈরির ওই কারখানায় দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানা মালিক বোরহান উদ্দিনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর ঘটনার বিবরণে জানান, গত ২০ এপ্রিল ভোরে নান্দাইলের চন্ডিপাশা এলাকায় একটি অবৈধ আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিয়া খাতুন (৪৫) নামে দুই নারী শ্রমিক মারা যান। নাসিমা আক্তার দেড় বছর এবং আফিয়া খাতুন চার মাস ধরে ওই কারখানায় কাজ করতেন। তারা কাজ অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে ছয় হাজার টাকা আয় করতেন।
বিস্ফোরণে দুই নারী শ্রমিকের বীভৎস মৃত্যুর ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার বোরহানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, ওই বাড়িটিতে অবৈধভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ রেখে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল। কারখানা মালিক বোরহান উদ্দিন দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে আতশবাজিসহ চকলেট বাজি, তারাবাজি, পটকা তৈরি করে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতেন।
আতশবাজি তৈরির জন্য কাঁচামাল ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে কিনতেন বোরহান। তার কারখানায় বাজি তৈরির জন্য পালাক্রমে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
পিএম/এনএসআর