ঢাকা, সোমবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ মে ২০২৪, ১৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২১ বছর পর প্রভাবশালীর দখল থেকে খাস জমি উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
২১ বছর পর প্রভাবশালীর দখল থেকে খাস জমি উদ্ধার

পঞ্চগড়: বেদখলের ২১ বছর পর পঞ্চগড়ে প্রভাবশালীর অবৈধ দখল থেকে ১৮ দশমিক ১৮ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার আমাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। তবে আশ্রয়ণ-২ এর কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমাদের বিপুল পরিমাণ খাস সম্পত্তির প্রয়োজন। এজন্য রমজান মাসেও জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ দশমিক ২৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে (২৬ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় মৌজায় স্যালিল্যান্ড টি স্টেট এর দখলে থাকা চা বাগানসহ জমি উদ্ধার করে লাল পতাকাসহ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় প্রশাসন। স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট ২০২১ সালে জমিটি অবৈধভাবে দখলে নেয় এবং চা বাগান করে।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১নং খতিয়ানভুক্ত ১৮ দশমিক ২৮ সরকারি সম্পত্তি ভারত সীমান্তের কাছে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেদখল ছিল। এর আগেও একাধিকবার জায়গাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও অজ্ঞাত কারণে পরে তা আলোর মুখ দেখেনি। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এবং প্রভাব খাটিয়ে জমির কোনো দলিল বা কাগজপত্র ছাড়াই দখলকারীরা ওই জমিতে চা বাগান করে ২১ বছর ধরে চা বিক্রি করে আসছিলেন। স্থানীয়ভাবে শুধু জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা। এছাড়া জমিতে চা বাগান এর মূল্য আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারারণ চন্দ্র বর্মণ এই খাস জমি দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সদর থানা পুলিশের একটি দলসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ দখলের বিষয়ে স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট এর ম্যানেজার আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জোরপূর্বক দখলে রাখার বিষয়টি ঠিক না। ব্রোকারের (দালাল) মাধ্যমে আমরা ২১ বছর আগে এই জমি ক্রয় করে চা বাগান করি। পরবর্তিতে জানতে পারি যে, বাগানের প্রায় ১৮ একর জমি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। এরপর আমরা জমিটি স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য নিয়ম মেনে জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি টিম জমি পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু আমরা যথাযথ শর্ত মেনে নিয়ম অনুযায়ী বন্দোবস্তের আবেদন করেও কোনো সাড়া পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।