মাদারীপুর: ৩ মে, মঙ্গলবার। ঈদ সকাল।
তীব্র গরমের মধ্যে বৃষ্টি শীতল পরশ এনে দিলেও ঈদের সকালের এ বৃষ্টি ঈদ উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন নানা বয়সীরা।
মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৭টা থেকে পৃথক সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে। বেশিরভাগ স্থানেই ঈদের নামাজ শেষ হবার পরেই বৃষ্টি শুরু হয়।
মুসুল্লিরা জানান, নামাজ শেষে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়নি। বাড়ি ফেরার পরেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গরম কমে গেছে। তবে ঈদের সকালে বৃষ্টি হলে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের মন খারাপ হয়ে যায়। ঘরে বসে থাকতে হয় তাদের।
এদিকে বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস থাকার কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৯টা থেকে নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদের দিন সকালেও ঘরমুখী যাত্রীরা ছিল বাংলাবাজার ঘাটে। বৃষ্টি শুরু হলে ঘাটে আটকা পড়েন অনেকেই।
শিবচরের উৎরাইল এলাকার মো. শাহজাহান নামে এক যুবক বাংলানিউজকে বলেন, নামাজ শেষে মাংস কিনতে এসে বৃষ্টির কবলে পড়েছি। সকাল থেকেই বৃষ্টি মানে ঈদের আনন্দ ম্লান করে দেওয়া।
সকাল ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির গতিবেগ কমলেও বৃষ্টি পড়া অব্যাহত রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা এবং থেমে থেমে মেঘের ডাক শোনা যাচ্ছে। বৃষ্টির ফলে গরম কমে গিয়ে স্বস্তি এলেও অস্বস্তিতে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। ঈদের সকালে বৃষ্টি কাম্য নয় বলে জানান তারা। ঈদের নামাজ শেষে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি ঈদের সকালেও যারা নিজ বাড়িতে ফিরছেন তারাও পড়েছেন বিপাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এসআরএস