পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামী মো. বরিউল ইসলাম খানের (২৬) বাড়িতে এক কিশোরী (১৫) অবস্থান করে অনশন করছে। তবে স্বামী রবিউলসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরী ওই গ্রামের একটি মাদরাসার ছাত্রী। অভিযুক্ত রবিউল একই গ্রামের মো. ছালেক খানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা জানান, একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করতে রবিউল ও তার পরিবার (কিশোরীর পিতা) বিভিন্নভাবে চাপ দেয়। গত বছরের ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ার নানা অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয় এক হুজুরের মাধ্যমে তারা বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর থেকে জামাতা রবিউল যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে মারধরসহ নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। পরে তার চাহিদা মতো এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ঈদের আগে আবারও ব্যবসার কথা বলে টাকা আনতে বললে মেয়ে টাকার আনতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তাকে মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয় ও ঘরে তালা দিয়ে পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, ওই কিশোরী ও তার মা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা আমার কাছে একটি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তাকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই কিশোরী তার স্বামী রবিউলের ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছে। সে জানায়, ‘গত ৪ দিন ধরে স্বামী রবিউল ও পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি স্ত্রীর মর্যদা চাই। ’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিউলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ওই কিশোরীকে কোনভাবেই বিয়ে করেননি। তার বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
এনটি