ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুর জেলা জজের খাস কামরা ও এজলাসে চুরি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
চাঁদপুর জেলা জজের খাস কামরা ও এজলাসে চুরি আদালত এলাকার একটি ডোবার পাশে ফেলে যাওয়া চুরি হওয়া মালামাল সংগ্রহ করছে পুলিশ

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজের খাস কামরা এবং এজলাসে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ মে) দিনগত রাতের কোন এক সময়ে এ ঘটনা সংঘটিত হয় বলে ধারণা করছেন আদালতের লোকজন।

তারা জানান, জজ আদালতের দ্বিতীয় তলার রেলিং ভেঙে দুর্বৃত্তরা এজলাসের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। এরপর খাস কামরা থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সিসিটিভি ক্যামেরার মনিটর, কম্পিউটার সিপিইউ, টিস্যু বক্স, চশমা, মাইক সেট, পানি গরম রাখার ফ্লাক্স, গাড়ির কাগজ, বেশ কয়েকটি মাল্টিপ্লাগ বস্তায় ঢুকিয়ে আদালত এলাকার একটি ডোবার পাশে এনে ফেলে যায়। তবে জেলা ও দায়রা জজের খাস কামরা থেকে কোনো প্রকার নথি খোয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তারা জানান, চোর জেলা জজের ব্যবহৃত টেবিলের উপর রাখা জরুরি কাগজপত্র মেঝেতে এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখে যায়। তবে দীর্ঘ সময় জেলা জজের খাস কামরায় ও এজলাসে অবস্থান করলেও আদালত এলাকায় দায়িত্বরত নৈশ প্রহরীরা বিষয়টি টের পায়নি।

রোববার (৮ মে) সকাল ৮টার পরে জেলা জজের অফিস সহায়ক বাসু দরজা খুলতে এসে দেখেনে খাস কামরার দরজার খোলা। বিষয়টি তিনি নাজিরকে জানালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারেন।

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই  ও জেলা গোয়েন্দা  (ডিবি) পুলশের টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং চুরির আলামতগুলো দেখেন।

এছাড়াও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আদালতের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চোর জেলা ও দায়রা জজের খাস কামরা থেকে  এমপ্লিফায়ার, সিসিটিভির মনিটর, কম্পিউটার সিপিইউ, টিস্যু বক্স, চশমা, মাইক সেট, ফ্লাক্স, গাড়ির কাগজ, বেশ কয়েকটি মাল্টিপ্লাগ নিয়ে যায়। সেসব জিনিস দুটি বস্তায় ঢুকিয়ে পাশের একটি ডোবায় ফেলে যায়। পরে থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই টিম ঘটনাস্থলে এসে ফেলে যাওয়া জিনিসিগুলো উদ্ধার করে। ঘটনাটি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছে।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ৮ মে. ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।