ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কিরগিজস্থানে পাচারের শিকার ১৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
কিরগিজস্থানে পাচারের শিকার ১৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি পাচারের শিকার ১৩ বাংলাদেমির মধ্যে ৪ জন

যশোর: কিরগিজস্থানে শ্রম পাচারের শিকার হওয়া ১৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর।

ভিকটিম ও স্বজনদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে সংস্থাটি।

 
 
রোববার (০৮ মে) যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।  

শ্রম পাচারের শিকার ১৩ জন হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আসাদুজ্জুামান (৩৪), মুরাদনগর উপজেলার ওলিউল্লাহ (৩৩), আলমগীর হোসেন (৩৩), দেলোয়ার হোসেন (২৪), আবু মুসা (২৪), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) দেবিদ্বার উপজেলার লিমন (২২), চান্দিনা উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৩৪), নরসিংদীর শামসুল ইসলাম (৩৪), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সজল মিয়া (২৭), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার আমির হামজা (৩৪) , চুয়াডাঙ্গার বিপুল হোসেন (২৪) ও নুরুজ্জামান (২৮)।

সংবাদ সম্মেলনে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, শ্রম পাচারের শিকার মানুষগুলো উদ্ধারে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। ভিকটিম পরিবারগুলোর পক্ষ থেকেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা তৎপরতা শুরু করেছি। এজন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা দরকার। ইতোমধ্যে দালালের বিরুদ্ধে একাধিক জেলায় মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাত মাস পূর্বে মাহমুদুল হাসান মীর নামক একজন দালাল চুয়াডাঙ্গা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ ও কুমিল্লার ১৪ জনকে কিরগিজস্থানে গার্মেন্টসে কাজ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা করে নেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় কিরগিজস্থানে যাওয়ার পর বেতন হবে ৬শ’ ইউএস ডলার এবং কাজের সময় হবে ৮ ঘণ্টা। কিন্তু ওই ১৪ জনকে কিরগিজস্থানে পাঠানোর পর তারা সঠিক কাজ ও মজুরি পাননি। তাদের একটি ছোট কাপড়ের কারখানায় কাজ দেওয়া হয়। যেখানে তাদের কোনো বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বলা হয়েছে, মাহমুদুল হাসান মীর তাদের কারখানার মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এজন্য বেতন চাইলে বা বেতন না পেয়ে কাজ করতে রাজি না হলে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ইতিমধ্যে ৫ জন ওই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে কিরগিজস্থানে ওয়াসিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ইতিমধ্যে একজন ভিকটিম কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন। এছাড়া সাত ভিকটিম পাচারকারী চক্রের হাতে এখনো বন্দি। এ অবস্থায় বন্দি ও ওয়াসিসের আশ্রয়ে থাকা ১৩ বাংলাদেশি যুবককে দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাইটস যশোরের আইনজীবী তাহমিদ আকাশসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
ইউজি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।